![]() |
শিশুদের নামাজ পড়ার দৃশ্য © সংগৃহীত |
ইসলামিক বিধান অনুয়ায়ী সন্তানদের শৈশব থেকেই নামাজের তালিম দেওয়া মা-বাবার দায়িত্ব। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সর্বস্তরে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। হাদিসে সাত বছর বয়স থেকেই সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করে তোলার নির্দেশনা রয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সাত বছর বয়সে তোমরা তোমাদের সন্তানদের নামাজের নির্দেশ দাও। বয়স ১০ বছর হওয়ার পর (প্রয়োজনে) নামাজের জন্য তাদের শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’ (আবুদাউদ-৪৯৫)
অন্য হাদিসে মুআয বিন আব্দুল্লাহ বিন হাবীব আল-জুহানী হিশাম বিন সাদ থেকে বর্ণিত, আমরা হিশামের কাছে গেলাম। তিনি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, শিশু কখন সালাত আদায় করবে? তিনি বললেন, আমাদের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলতেন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। এর উত্তরে তিনি (রাসুল সা.) বলেন, ‘যখন সে তার ডানকে বাম থেকে আলাদা করতে পারবে, তখন তাকে সালাতের নির্দেশ দাও’।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৭; বাইহাকী, সুনান আল-কুবরা : ৫২৯৬)
নামাজ ফরজ হওয়ার শর্ত
যতক্ষণ পর্যন্ত তিনটি শর্ত একই সঙ্গে পূর্ণ হবে না, ততক্ষণ নামাজও ফরজ হবে না। শর্তগুলো হল—
১. মুসলমান হওয়া। কারণ, কাফিরের ওপর নামাজ ফরজ নয়। (আল ফিকহুল ইসলামী : ১/৬৩৭);
২. বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। নাবালেগ সন্তানের ওপর নামাজ ফরজ নয়। (বুখারি : ১৬/৩১৫)
৩. আকল তথা মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। পাগল ও মাতালের ওপর নামাজ ফরজ নয়।
এ ছাড়া সন্তানের বয়স যখন সাত বছর হবে, তখন মা-বাবার উচিত তাদের নামাজ পড়ার হুকুম দেওয়া। ১০ বছরে উপনীত হলে নামাজ ওয়াজিব হওয়ার আগে নামাজে অভ্যস্ত বানানোর জন্য (প্রয়োজনে) তাদের বেত্রাঘাত করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন